সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের চিলাউড়া গ্রামের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক চিলাউড়া মসজিদটি আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সর্ব প্রথম পাকা মসজিদ। চিলাউড়া গ্রাম ও এ মসজিদটির কালজয়ী ইতিহাস আছে। 

প্রায় ৭শ বছর আগে হযরত শাহজালাল (র.) এর সফর সঙ্গীরা ইসলামের দাওয়াত নিয়ে এ এলাকায় এসেছিলেন। যা স্থানীয় ভাষায় “চিল্লা” বলা হয়। এ চিল্লা শব্দ থেকে চিলাউড়া গ্রাম নামকরণ হয়। এ সময় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে এখানে ছনের ঘরের মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

তবে ১৯০৫ সালে চিলাউড়া মাঝপাড়া গ্রামের হাজী হরমুজ উল্লাহ (বাদশা হাজী) এর মা হজ্বে না গিয়ে তাঁর হজ্বের টাকা দিয়ে এ মসজিদকে প্রথম পাকাকরণ করেন।

ছোট পরিসরে ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট চমৎকার মসজিদটি আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে এ মসজিদটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এ মসজিদের পাশে রয়েছে বিশাল আরেকটি মসজিদ। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদের কাজ এখনো চলছে। সময়ের পরিক্রমায় ও জন সংকুলানের তাগিদে নতুন বড় মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটির বর্তমান নাম চিলাউড়া শাহী জামে মসজিদ।

২৬ ফেব্রুয়ারি 2021 সালের শুক্রবার সরজমিনে চিলাউড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনায় কমিটির সভাপতি হারুন রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ছায়াদ মিয়া, গ্রামের মুরব্বি হাজী আবদুল গফুর, কাজল মিয়া, কবি আলতাব আলী, দিলু মিয়া, সুফি মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, তাজুদ মিয়া, এরশাদ মিয়া, কমরু মিয়া, ছোট মিয়া, সাহায্য মিয়া, সাজিদ মিয়া, আছলম উদ্দিন, সানুর মিয়া, আহাদ মিয়া সহ অনেকের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন: dreamsylhet24

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন